নিউজ ডেস্ক : সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকায় হাত পা বেঁধে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণকারী ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখেন। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিন ও ভাড়াটিয়া ধর্ষক টিটুর স্ত্রী মুন্নিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
ধর্ষণের শিকার ঔ শিশুর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮-১০ দিন আগে ঐ শিশুটি তার বড় বোনের মিজমিজি পূর্বপাড়ার আলাউদ্দিন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে বেড়াতে আসে। একই বাড়ির ভাড়াটিয়া টিটু ১১ মে বুধবার বাসায় ১১ বছরের শিশুকে একা পেয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরে টিটু ঐ ভিডিও চিত্র দেখিয়ে ওই শিশুকে আরো কয়েক বার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিনকে ওই শিশু বোন জানালে, আলাউদ্দিন দেখবে বলে তাদেরকে জানায়। পরে ১৫ মে রবিবার বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিন ঐ শিশুকে বাসার একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে ঐ শিশুটি ভয়ে ফতুল্লা মামুদপুরের ফুফুর বাড়িতে চলে যায়। মঙ্গলবার আবারও সে মিজমিজি’র ওই বাসায় আসলে টিটু ধর্ষণের ভিডিও চিত্র দেখিয়ে পূণরায় তাকে ধর্ষণ করতে তাদের ঘরে ঢুকলে কৌশলে ঔ শিশুর বোন বাহির থেকে ঘর দরজা আটকিয়ে দেয়। পরে ধর্ষণকারী টিটুর স্ত্রী মুন্নি তার স্বামী টিটুকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িওয়ালার আলাউদ্দিন ও তার ভাড়াটিয়া টিটুর স্ত্রী মুন্নিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকিকুজ্জামান ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, ১১ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশের কাছে বর্ণনা দিয়েছে। এ সময় ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও চিত্র ধারণ করেছে বলেও পুলিশকে জানায়। ভিডিও চিত্রটি টিটুর মোবাইল ফোনে রয়েছে। টিটু পলাতক থাকায় ঔ ভিডিও চিত্রটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় বাড়ি মালিক আলাউদ্দিন ও টিটুর স্ত্রী মুন্নিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Be the first to comment on "সিদ্ধিরগঞ্জে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ধারণ"