নিউজ ডেস্ক : অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন শেষ হওয়ার পর সীতাকুণ্ডের প্রেমতলার ছায়ানীড় বাড়ির জঙ্গি আস্তানায় উপস্থিত হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেট (পিবিআই)। ঘটনাস্থলের পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছে তারা। এদিকে, জঙ্গি আস্তানায় পাওয়া বিপুল পরিমাণ বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। অভিযান শেষ হওয়ার পরই বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ শুরু করে বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।
ছায়ানীড় নামের ওই বাড়ির যে ফ্ল্যাটে জঙ্গিরা ছিল, সেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল জানিয়ে ডিআইজি বলেন, জঙ্গিরা যে দুটি রুমে থাকত, সেখানে প্রচুর গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক রয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ওই বাড়িতে প্রবেশ করেছে। তারা বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ এখনও চলছে। এদিকে, দুপুর ১২টার কিছু সময় পরে দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেট (পিবিআই)। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোয়াত টিমের নেতৃত্বে প্রেমতলার ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাদের সঙ্গে অংশ নেন চট্টগ্রামের সোয়াত, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। অভিযান শুরুর পর সোয়াত সদস্যদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় সোয়াতের দুই সদস্য গুরুতর আহত হন। ওই বাড়ি থেকে ২০ জনকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে সেয়াতের দুই জন, পুলিশের এক ও ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আহত হন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায় নামারবাজারে সাধনকুটির নামের একটি বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনা নামের দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই নারীর গায়ে আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট ছিল। সাধনকুটির থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
Be the first to comment on "সীতাকুণ্ডের জঙ্গি আস্তানায় এখন"