নিউজ ডেস্ক : সীতাকুণ্ডের প্রেমতলার জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নিহতদের মধ্যে এক দম্পতিকে পরিবারের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করলেও তাদের লাশ নিতে চান না স্বজনরা।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে কামাল উদ্দিন ও জোবাইদার লাশ শনাক্ত করে দুই পরিবার।
এ সময় কামালের বাবা মোজাফফর আহমদ ও জোবাইদার বাবা নুরুল আলম সন্তানদের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।
মোজাফফর আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছেলে যে এত বড় ঘটনা ঘটাবে তা কখনো কল্পনাও করিনি।”
সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর পুলিশ যোগাযোগ করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “এলাকার মানুষের মুখেও এরপর শুনেছি। আজ এখানে এসে দেখলাম এ আমারই সন্তান। তার দিকে আমি ফিরেও চাইব না। আমি লাশ নেব না।”
প্রায় ৭০ বছর বয়সী মোজাফফর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা জোবাইদার বাব নুরুল আলম মর্গে আসেন; সঙ্গে ছেলে ভাই জিয়াবুল হক।
নুরুলও বলেন, “আমি লাশ নেব না।”
হাসপাতালের মর্গে এলেও মেয়ের লাশ দেখতে যাননি তিনি; ছেলে জিয়াবুল গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করেন।
জোবাইদার আরেক ভাই জহিরুল হক জসিম ও তার স্ত্রী আর্জিনাকে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের নামার বাজার এলাকার সাধন কুটির থেকে ১৫ মার্চ বিকেলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরদিন পাশের প্রেমতলার জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলা ও গুলিতে চার জঙ্গি নিহত হন। তাদের মধ্যে জোবাইদা ও তার স্বামী কামালও ছিলেন।
জোবাইদার বাবা বলেন, “গত সাত-আট মাস ধরে জসিম আলাদা বাসায় থাকত। আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ করত না। তবে কামাল ও জসিমের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।”
সীতাকুণ্ডের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর সেদিন রাতে লাশগুলো উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। পরদিন জসিম ও আর্জিনাকে ১২ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।
সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর ১৭ ও ১৮ মার্চ ঢাকায় আত্মঘাতী জঙ্গি নিহত হওয়ার পর পুলিশ জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের এবং চট্টগ্রাম ও আশকোনায় ব্যবহৃত বোমায় মিল আছে।
Be the first to comment on "সীতাকুণ্ডের জঙ্গি দম্পতির লাশ নেবে না পরিবার"