নিউজ ডেস্ক : বুধবার বিকালে সীতাকুণ্ড পৌর শহরে ‘জেএমবির জঙ্গিদের’ একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর পাশের ওয়ার্ডের ওই বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে বোমায় আহত হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকা থেকে সোয়াটের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর দেড়টার দিকে সেখানে পৌঁছান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (উত্তর) মসিউদ্দোল্লাহ রেজা জানান, ঢাকার এই দলের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। এই অবস্থায় ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষ টিমকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে। ঢাকার টিম যোগ দেয়ার পর ওই আস্তানায় মূল অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এসপি।
এসপি বলেন, একজনও যাতে পালাতে না পারে সেজন্য আমরা চারদিক থেকে অবস্থান নিয়েছি। কাজ চলছে। সেখানের বাসিন্দা যারা আছেন, তাদের মধ্যে অনেক নারী-শিশু আছে। ঘনবসতি এলাকা। বাসিন্দাদের সেফটিটা আগে দেখতে হচ্ছে। তবে কেউ কোনভাবে পালাতে পারবে না। যেভাবে টাইম লাগে, প্রফেশনাল ওয়েতে আমরা করব।
বাড়িওয়ালার কাছ থেকে খবর পেয়ে বুধবার বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে সীতাকুণ্ড পৌর এলাকার নামার বাজার ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকায় দোতলা সাধন কুটিরের নিচতলায় পুলিশের অভিযান শুরু হয়। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জসিম ও আর্জিনা নামের এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যে পাশের প্রেমতলা ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার ‘ছায়ানীড়’ নামের এই দোতলা বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে গ্রেনেড হামলায় সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক আহত হন। পরে সীতাকুণ্ডের ওসি ইফতেখার হাসানের নেতৃত্বে আরেকটি দল এসে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন র্যাব ও সোয়াট সদস্যরা।
Be the first to comment on "সীতাকুণ্ডে পৌঁছেছে সোয়াট টিম"