শিরোনাম

আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন বিমানবন্দরের পরিচালক

নিউজ ডেস্ক: বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা বাড়ানো এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম মনিটরিংয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ কানে তুলছেন না বিমানবন্দর পরিচালক এম কে জাকির হাসান। অভিযোগ ওঠেছে, বিমানবন্দরের অপরাধমূলক কার্যক্রম মনিটরিং করতে আদালতে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না। এছাড়া কেন সিসিটিভি দেয়া হচ্ছে না এর জবাবও দিচ্ছেন না তিনি।

ভোক্তভোগীদের অভিযোগ, সিভিল অ্যাভিয়েশনের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাঁচানোর জন্য এ কাজ করছেন বিতর্কিত এ পরিচালক। যে কারণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষে অপরাধমূলক কার্যক্রম মনিটরিং ব্যবস্থা থাকার বিপক্ষে তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিসিটিভির প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে এক বছর আগে থেকে। শুরু থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষে সিসিটিভির মনিটর বসাতে গড়িমশি করছেন জাকির হাসান। এছাড়া পরিচালক জাকির হাসান দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিমানবন্দরের যাত্রী সেবার মান অনেকাংশে কমেছে, বেড়েছে সিভিল অ্যাভিয়েশনের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ল্যাগেজ চুরির ঘটনা। ফলে প্রতিদিন ভোক্তভোগীরা শেষ প্রতিকার ও আশ্রয়ের আশায় ছুটে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেদের কক্ষে।

সরজমিনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়মিতভাবে আদালত পরিচালনাসহ বহিরাঙ্গনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আদালতের নিয়মিত তদারকির ফলে যাত্রী সেবার মান যেমন বেড়েছে তেমনি অনেকাংশে কমেছে যাত্রী হয়রানিও।

এ বিষয়ে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, “বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু অপরাধমূলক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আদালতে দায়েরকৃত মামালা বিষয়ক তথ্য উপাত্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সিসিটিভির ফুটেজের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আদালতে এ ধরনের সিসিটিভি মনিটর সংযোগ না থাকায় যথাযথভাবে সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না।”

সিভিল অ্যাভিয়েশনের অন্য দফতরের মত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিসিটিভি মনিটর স্থাপন করা হলে জনসাধারণকে প্রত্যাশিত সেবা প্রদান করা সহজতর হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিসিটিভি মনিটর স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানান। মৌখিক অনুরোধে কাজ না হওয়ায় গত ১৪ মার্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে দ্বিতীয় দফায় একটি চিঠিও দেয়া হয়। যার স্মারক নম্বর ‘হশাআবি/এমসি/কোর্ট/২০১৫/৩১’। তবে এ চিঠি দেয়ার পরও কোনো কাজ হয়নি।

আদেশের পরও সিসিটিভির মনিটর না দেয়ায় আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আর ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিসিটিভি নেই কিংবা চাইলেও দেবে না। এটি সংশ্লিষ্ট পরিচালকের কাছ থেকে দেশ ও জাতি প্রত্যাশা করে না।”

তবে বিমানবন্দর পরিচালক এম কে জাকির হাসান বাংলাদেশ থেকে কার্গো চলাচলের বিষয়ে আলোচনা করতে লন্ডনে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সূত্র: জাগো নিউজ

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন বিমানবন্দরের পরিচালক"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*