লাইফস্টাইল ডেস্ক: সঙ্গীতশিল্পী এলিটা রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন কিছুদিন আগেই। পরিবারের অন্যতম তিন সদস্যকে নিয়ে ঢাকায় ‘নবাব চাটগাঁ’র যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। সম্পর্কে তিনজনই তার ‘আঙ্কেল’। এরা হলেন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ওয়াসিউদ্দিন এবং ইফতেখার হোসাইন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের স্বাদ সারাদেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এই প্রয়াস।
মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, `আমি চট্টগ্রামের ছেলে। প্রথমে ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে মেজবানের আইটেম খেয়ে মনে হলো, কোথায় যেন অপূর্ণতা থেকে যাচ্ছে। আসল মেজবানের খাবারের স্বাদটা ঠিকমতো আসছে না। তখনই আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে নিজেরাই একটি রেস্টুরেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেই। এখন দিনদিন মেজবানের আইটেমগুলো ঢাকায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আমাদের নবাব চাটগাঁ`য় আসল মেজবানের স্বাদ পাওয়া যাবে। মেজবানের বাইরেও কিছু আইটেম রেখেছি। কারণ গরুর মাংস কেউ কেউ হয়তাে খান না। তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই চিকেন রেজালা, মাটন কারি, মাটন কোর্মা ইত্যাদি করে থাকি।`
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও আমরা চুক্তি করতে যাচ্ছি, যাতে তাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের এখানে বিশেষ ছাড়ে মেজবানের স্বাদ নিতে পারে। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমরা পার্টটাইম জবও দিয়ে থাকি, যাতে তারা স্বনির্ভর হতে পারে। কাজকে কাজ মনে করে, লজ্জা না পায়। নিজ দেশে সুযোগ সুবিধা পেলে তাদের আর দেশের বাইরে যেতে হবে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের এবছরের প্রোফিট থেকে পাঁচজন দুস্থ নারীকে সহায়তা করার। আমাদের এখানে যেহেতু প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিন রান্না করা হয়, তাই দিনশেষে খাবার যা থেকে যায় তা অসহায় ছেলেমেয়েদের দেওয়া হয়। তাই নবাব চাটগাঁ শুধু একটু রেস্টুরেন্টই নয়, এটি একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানও।`
নবাব চাটগাঁ`য় আইটেম হিসেবে পাবেন মেজবানি মাংস, গরুর কালা ভুনা, নলা ঝোল আর চানার ডাল। মাছের মধ্যে প্রতিদিনই থাকছে লইট্টা, রুপচাঁদা আর চিংড়ি। গুলশান-১ এর ১৯ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িতে ‘নবাব চাটগাঁ’ সবার জন্য খোলা থাকবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটা এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
Be the first to comment on "আসল মেজবানের স্বাদ নবাব চাটগাঁ`য়"