নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ শনিবার বেলা দেড়টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। রোয়ানু চট্টগ্রম উপকূলের সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, সীতাকুণ্ডু ও ফেনী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে এসেছে।”
তিনি জানান, উপকূলের কাছাকাছি আসার পর এ ঘূর্ণিঝড় দ্রুত স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করে। ঝড়ের পুরো পরিধি স্থলভাগে উঠে আসতে বিকাল পেরিয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বইছে ঝড়ো বাতাস, সেই সঙ্গে চলছে বৃষ্টি।
চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। প্যাসিফিক ডিজাস্টার সেন্টারের অ্যাটলাস থেকে নেওয়া বিকাল সোয়া ৩টার চিত্র।
চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। প্যাসিফিক ডিজাস্টার সেন্টারের অ্যাটলাস থেকে নেওয়া বিকাল সোয়া ৩টার চিত্র।
উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।
সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, উপকূল অতিক্রম করার সময় ভারি বৃষ্টি ঝরিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ইতোমধ্যে রোয়ানুর প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে গাছ ভেঙে ও ঘর বিধ্বস্ত হয়ে ভোলা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বলছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপকূলীয় এলাকার ৫ লাখ বাসিন্দাকে।
রোয়ানু’র প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধসের আশঙ্কা জানিয়ে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Be the first to comment on "উপকূল অতিক্রম করেছে রোয়ানু"