নিউজ ডেস্ক : বাণিজ্যিক সুরক্ষার স্বার্থে ইতোমধ্যে গদর বন্দরকে সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে চীন৷ শুধু ভারতের দোরগোড়ায় সৈন্য মোতায়েনই নয়, এবার প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে ভয়ানক মারণাস্ত্র বানাতেও সাহায্য করবে দেশটি৷
চীনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পাক সেনাপ্রধান কামার বাজওয়া ও চীনা সামরিক কর্তাদের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ ওই বৈঠকে স্থির হয়, পাকিস্তানকে ব্যালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল, ট্যাঙ্ক, বিমান ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে সাহায্য করবে বেইজিং৷ এছাড়াও FC-1 জিয়াওলং নামের যুদ্ধবিমান নির্মাণের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে৷ সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে দুই দেশ বলেও জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম৷
এদিন, চীন-পাকিস্তান বাণিজ্যিক করিডরের সুরক্ষার আশ্বাসও দেয় ইসলামাবাদ৷ চীনে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত মাসুদ খালিদ জানিয়েছেন, গদর বন্দরের সুরক্ষায় পনেরো হাজার সেনা মোতায়েন করতে চলেছে পাকিস্তান৷ এছাড়াও জলপথে বন্দরটির সুরক্ষার ভার নিচ্ছে পাক নৌসেনা৷ পাকিস্তানকে ভয়ানক সব মারণাস্ত্র দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে এক চীনা সামরিক আধিকারিক জানিয়েছেন, আল কায়দা ও তালিবান সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় জর্জরিত পাকিস্তান৷ তাই দেশের সুরক্ষা ও শান্তি বজায় রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে চীন৷
তবে বাণিজ্য ও শান্তির দোহাই দিলেও ভারতের চারপাশে সামরিক ঘাঁটি বানিয়ে ঘিরে ফেলতে চাইছে চীন এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল৷ ভারত মহাসাগরে ইতোমধ্যে ঘোরাফেরা শুরু করেছে চীনা রণতরীগুলি৷ এদিকে তৈরি হচ্ছে ভারতও৷ ইতোমধ্যে আমেরিকা, জাপান ও ভিয়েতনামের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে দিল্লি৷ সম্প্রতি, ভিয়েতনামের সেনাকে প্রশিক্ষণও দিতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা৷
Be the first to comment on "এবার ভয়ানক মারণাস্ত্র বানাতেও পাকিস্তানকে সাহায্য করবে চীন"