নিউজ ডেস্ক : আগামী নির্বাচনে নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি করলে বিএনপি ‘আবারও নিজেদের ভুলের ফাঁদে’ পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারতের হাই-কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেও সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে এই প্রথম তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেন কাদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কী, বিএনপির সাথে আলোচনা কেন করতে হবে। বিএনপি কী আলোচনা বা সংলাপের পথ খোলা রেখেছে? তাদের পথ তারাতো বন্ধ করে দিয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের মতে, নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আর দুই বছর দুই মাস আছে আমাদের। আমরা যথাসময়েই নির্বাচন করব। অলরেডি পার্টি কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করব। আমরা অলরেডি শুরু করে দিয়েছি।
নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কী ভাবছে জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমাদের সংবিধানে যা আছে, সেভাবে হবে। এখন সংবিধানে যা আছে তা পরিবর্তন বা সংশোধনের কোনো উপায় নেই। বিএনপিকে সেটা মেনে নিতে হবে।
তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ভোটের দাবিতে বিএনপির দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব করে আবার তারা যদি পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কোনো কনফিউশন তৈরি করে, তাহলে তারা নিজেরাই নিজেদের ভুলের ফাঁদে পড়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে এখন নালিশ আর নালিশ, অভিযোগ আর অভিযোগ। হিসেবে তো তাদের কিছু নেই, ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিং আর স্টেটমেন্ট। ২০০ বা ৫০০ লোক নিয়ে একটি প্রসেশন যে করবে- সে সক্ষমতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। দেখুন, অপজিশন হিসেবে নিজের সক্ষমতা না থাকলে নিজের গুরুত্বটা প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
নিজের দলকে সংগঠিত করার বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, দলে সব ধরনের লোকই থাকে। তবে আমার এখানে যে বিষয়টা কনসার্ন থাকবে, যে বিষয়টা দেখতে হবে, যাতে বসন্তের কোকিলরা এসে দুঃসময়ের কর্মীদের কোণঠাসা করে না ফেলে। তাতে দল দুর্বল হয়ে যাবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘সংশয় বা অবিশ্বাসের’ কোনো বিষয় নেই দাবি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘‘তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে সরকার আশাবাদী।
আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে, তখন ইতিবাচক কিছু আসবে বলে আমরা আশা করছি।” সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কোন বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ মনে করেছেন- এ প্রশ্নে কাদের বলেন, পার্টির চ্যালেঞ্জ হল আগামী নির্বাচন সামনে রেখে পার্টিকে আরও গতিময় করা এবং ‘স্মার্টার’ করা। দলের যে ছোটখাট সমস্যাগুলো আছে ডিসিপ্লিন ফিরেয়ে এনে নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া ভারতের হাই-কমিশনার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান কাদের। পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হওয়ার মধ্যে দিয়ে ভারতের রুলিং পার্টিসহ অন্যান্য দলের সাথে পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক, আমাদের কানেকটিভিটি আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছি।
বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো এগিয়ে যাবে। আমরা আশাবাদি দুই দেশ সব সময়ই পরস্পরের প্রতি আন্তরিক।
Be the first to comment on "ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক"