নিউজ ডেস্ক : বিদ্যুত জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলপিজি গ্যাসের দাম বেঁধে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্যে সরকার একটি নীতিমালা তৈরী করছে যা এক থেকে দু’মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কুড়িল বিশ্ব রোডের বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির ৪নম্বর হলে দু’দিনের ৪র্থ এশিয়ান এলপিজি সম্মেলন-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক এলপিজি এসোসিয়েশন, অল ইভেন্ট গ্রুপ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড যৌথভাবে দু’দিনের এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ঘরে ঘরে এলপিজি পৌঁছে দেওয়া হবে। এ লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষা করে ভোক্তা সাধারণকে নিরাপদ এলপিজি সরবরাহ করা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের বিস্ফোরক অধিদফতরের কাঠামো দূর্বল। এটাকে আরও সবল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এলপিজি’র দাম প্রসঙ্গে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী আর বলেন, ১২ থেকে সাড়ে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি গ্যাসের দাম বাংলাদেশের বাজারে ১১০০ থেকে সাড়ে ১১০০ টাকা। আমাদের গভীর সমুদ্রে টার্মিনাল থাকলে এলপিজি গ্যাসের দাম ৩০ ভাগ কমানো সম্ভব হত।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহস্থালীকাজে এবং যানবাহনে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প খোঁজার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। কারণ আমাদের দেশ প্রয়োজনীয় ও প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস নেই। বাংলাদেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে এবং গ্যাস রফতানি করা যাবে- এই রকমের প্রচারণা রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজী ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএনপি-জামায়াত জাতিকে এই রাজনৈতিক ধোঁকা দেয়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে গ্যাস রফতানির প্রশ্নই ওঠেনা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ এলপিজি গ্যাস এসোসিয়েশনের সভাপতি সালমান এফ রহমান, ওয়ার্ড এলপিজি এসোসিয়েশনের ডাইরেক্টর ডেভিট টেলর এবং ওমেরা প্যাট্রোলিয়াম লিমিটেডের তানজিম চৌধুরী। সম্মেলনে ২০টি দেশের ১০০ জনের মত প্রতিনিধি অংশ নেন।
Be the first to comment on "দুই মাসের মধ্যে এলপিজি’র দাম নির্ধারণ : বিপু"