নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্যাকিং এর ঘটনায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নিম্নমুখী ধারার আশংকা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংগঠনটি আহ্বান জানায়।
বুধবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব কথা জানানো হয়েছে। বার্তাটি পাঠিয়েছেন ঢাকা চেম্বারের মহাসচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির।
বার্তায় বলায় হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্যাকিং ঘটনা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বহুমুখী প্রভাব ফেলতে পারে। এ ঘটনার ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ, ক্রেডিট রেটিং ব্যবস্থায় বাংলাদেশের স্থান অবনমন, এক্সচেঞ্জ রেটের ক্ষেত্রে টাকার মূল্যমানের অবনমন এবং সার্বিক অর্থনীতিতে নিম্নমুখী ধারার আশংকা সৃষ্টি হতে পারে।
আরো বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্যাকিং ঘটনার কারণে বাংলাদেশি মুদ্রার মূল্যমানের অবনমন, রফতানি বাণিজ্যে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রবণতা বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যয় বাড়ার কারণে আমাদের আমদানি নির্ভর অর্থনীতির রফতানি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
অপরদিকে, রিজার্ভ হ্যাকিং ঘটনায় রেমিটেন্স প্রবাহ এবং সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে স্থানীয় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগসহ অন্যান্য বিষয়গুলো সাময়িক বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
সরকার ইতোমধ্যে এ ঘটনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ডিসিসিআই আশা করে, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি নিয়োগ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্যাকিং ঘটনায় জড়িতদের অতি দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে।
যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশের মুদ্রানীতি প্রণয়ন এবং বাংলাদেশের ক্রমঅগ্রসরমান আর্থিক খাতের রক্ষক হিসেবে কাজ করে, তাই সামনের দিনগুলোতে দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য যুগোপোযোগী তথ্য-প্রযুক্তি নিরাপত্তা গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনাম ও আস্থা অটুট রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে কার্যকর এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় ঢাকা চেম্বার। যার মাধ্যমে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরো বেশি হারে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আশ্বস্ত হবে। এর ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পাশাপাশি ট্রিলিয়ন ডলার ডিজিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে এবং এসডিজির নির্ধারিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
Be the first to comment on "রিজার্ভ হ্যাকিং অর্থনীতিতে নিম্নমুখী ধারার আশংকা"