শিরোনাম

‘রুহুল আমিনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে বাধা নেই’

‘রুহুল আমিনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে বাধা নেই’

নিউজ ডেস্ক॥ জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুদকের নোটিশের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলতে আর কোনো বাধা থাকলো না। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে জাপার এই নেতাকে দেয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দেন।

আদালতে হাওলাদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদারকে দুর্নীতি দমন কমিশনের দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা গত ৩রা এপ্রিল চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থকে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। এখন তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।

এর আগে গত ২৮শে মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাকে ৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সেনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।

তলবি চিঠিতে বলা হয়, রুহুল আমিন হওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ওদুর্নীতির অভিযোগ আছে। সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

গত বছরের ১৩ই সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে চিঠি পাঠিয়ে তাকে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা’ ও ‘অসুস্থতার’ কারণে তলবে হাজির হননিরুহুল আমিন হাওলাদার। একই সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি’ ও ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করেব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি দুদকে চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিতে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কর্মী সংগ্রহ, প্রার্থী বাছাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। সংসদ অধিবেশনেও প্রতিদিন অংশ নিতে হচ্ছে। তাছাড়া হৃদরোগ,উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক সম্পদবৃদ্ধির বিষয়টি আমলে নিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য ২০১৭ সালে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু হয়।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "‘রুহুল আমিনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে বাধা নেই’"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*