নিউজ ডেস্ক ॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল কে,কে,এস ইন্সটিটিউশনে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে তিনজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার সুষ্টু সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয়ে আসছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকেরাও তাদের সন্তানদের কে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পর থেকে নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাইছেনা। সম্ভাব্য সংঘাতের আশংকায় ১১ দিন ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত না হওয়ায় বিদ্যালয়টি অচলাবস্থার সৃুষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,ওই বিদ্যালয়ে মোট ৬৬৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত হয়েছে মাত্র ১৫-২০ জন। বিদ্যালয়ের এ পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় উপজেলার মাকড়াইল কে,কে,এস ইন্সটিটিউশনে গত (৩০ মার্চ) স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে জাল ভোট প্রদানে বাধা দেয়ার ঘটনায় প্রতিন্দ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থক লিয়াকত শিকদারের ছেলে শুভ শিকদারের নেতৃত্বে মাকড়াইল গ্রামের মৃত হায়াত আলীর ছেলে ইমন আলী এবং বহিরাগত আনছার শিকদারের ছেলে ফেরদাউস শিকদার, মতিয়ার শিকদারের ছেলে খলিল শিকদার ও মৃত ছলেমান শিকদারের ছেলে আহাদ শিকদার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেদী, রমজান ও রিয়াজুলকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন,এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমন ও খলিলকে আটক করেন। সংঘর্ষের ঘটনায় খন্দকার দুলাল বাদী হয়ে ১ এপ্রিল ৫জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০১ ।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ে না আসার জন্য অব্যহত ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। হামলার ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে না। ফলে বিদ্যালয়ে চলছে অঘোষিত ছুটি! ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম, ইরান ও কনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রউফসহ আসামী পক্ষের লোকজন স্কুলে না আসার জন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে শাসিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তোজাম্মেল হক বলেন, শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসলেও স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে না। তিনি বিদ্যালয়ের অচলাবস্থার কথা স্বীকার করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ আবু দাউদ মোল্যা বলেন, সৃষ্ঠ সময্যা সমাধানের জন্য আগামী শুক্রবার এলাকাবাসির উপস্থিতিতে এক সভা আহব্বান করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহীদুর রহমান বলেন, আলোচনা করে বিদ্যালয় সচল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ার মাকড়াইল কে,কে,এস ইন্সটিটিউশনে অচলাবস্থা !"