নড়াইল প্রতিনিধি॥ ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিককে হুমকি প্রদানে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের নিন্দা প্রকাশ।
নড়াইলে সপ্তম শ্রেনীর এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ একই মাদরাসার প্রাক্তন লম্পট শিক্ষার্থী মনিরুল কাজীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক নড়াইল সদর থানায় মামলা করেছে ওই ছাত্রীর মা। নড়াইল সদর থানায় মামলা নং-১৯/১০১। মামলার অন্য আসামীরা হল মঞ্জু বিশ^াস, রিয়াজ মোল্যা ও সাবানা বেগম। এদিকে বিভিন্ন জাতীয়, অনলাই ও আঞ্চলিকে সংবাদ প্রচার হওয়ায় ক্ষেপেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন আ;লীগ নেতা মামলা না করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শালিশ মিমাংশা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ। এদিকে আসামী না ধরার জন্য পুলিশকে চাপ প্রয়োগ করছে প্রভাবশালী মহল বলে একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়। এদিকে যশোর থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত দৈনিক যশোর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বেজায় ক্ষিপ্ত হয়ে দৈনিক যশোর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ৭-৮টি মোটরসাইকেলে তার বাহিনীসহ নিজে এসে হুমকি প্রদান করেন। জেলা প্রতিনিধির অফিসের সামনে হট্টগোল দেখে স্থানীয় লোকজন জড় হয়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এস.এম হালিম মন্টু বিষয়টি জ্ঞাত হয়ে চেয়ারম্যানকে বলেন, সংবাদটি শুধু দৈনিক যশোর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি আরো অনেক পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। আপনি অন্যায় ভাবে কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারেন না। সাংবাদিক এস.এম হালিম ও নড়াইল সদর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন (বাগডাঙ্গা)’র হস্তক্ষেপে তিনি অফিস ত্যাগ করেন। চেয়ারম্যান কর্তৃক নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া কøাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়ের অফিসে এসে হুমকি প্রদান করায় নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাব নিন্দা প্রকাশ করেছেন, সাধারণ সম্পাদক হিমেল মোল্যা, দৈনিক ভোরের বাংলা’র প্রকাশক ও সম্পাদক জোহাঙ্গীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক বুলু দাস, সহ-সভাপতি পৌর কমিশনার মাহবুব আলমসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের ওই মাদরাসার ছাত্রী গত ১৬ই মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ছাগল নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় একই গ্রামের হাই কাজীর ছেলে মনিরুল কাজী তাকে জোরকরে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে গোপালগঞ্জ নিয়ে আরো ২জনের সহযোগিতায় মনিরুল কাজী ধর্ষন করে। পরে রাতে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। ১৭ মার্চ সকালে ওই ছাত্রীকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়। সদর থানার উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন শেষে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে, আদালত ওই ছাত্রীর পরিবারের নিকট জিম্মায় দিয়েছে। এজাহার ভূক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তদন্তকারী ওই কর্মকর্তা। অপরদিকে ২১ মার্চ নড়াইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিডি খবরে এ সংবাদটি প্রকাশিত হয়, চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে মাইজপাড়া বাজারে কৌশলে ডেকে নিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে চাপ প্রয়োগ করে। ওই ধর্ষিতার মায়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকার সকলের মুখে প্রচারিত হচ্ছে এ ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মোটা অংকের অর্থের লেনদেনের পায়তারা করছে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা।
Be the first to comment on "সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিককে হুমকি ॥ নড়াইল অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের নিন্দা"