নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যায় জড়িত সন্দেহে শিবিরের সাবেক এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
নগর পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আবু নছর ওরফে গুন্নু (৪৫)। তিনি শিবিবের সাবেক কর্মী। তাঁকে আজ ভোরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, আবু নছরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদে তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে। এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
দেবদাস ভট্টাচার্যের ভাষ্য, আবু নছর দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে দেশে ফেরেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অপহরণসহ তিনটি মামলা রয়েছে। তাঁর নির্দিষ্ট কোনো পেশার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি নিজেকে আড়ালে রাখতে একটি মাজারের খাদেমের পরিচয় দিতেন।
এক প্রশ্নের জবাবে দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, মাহমুদাকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মধ্যে আবু নছর ছিলেন না। তবে ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান করে তিনি খুনিদের সহায়তা করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত রোববার সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরের জিইসি এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মাহমুদাকে খুন করে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী জিইসি মোড় থেকে গোলপাহাড়ের দিকে চলে যায়। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। খুনের ঘটনায় গত সোমবার বাবুল আক্তার হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা তদন্তের মূল দায়িত্বে আছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই) তদন্তে সহায়তা করছে।
Be the first to comment on "এসপির স্ত্রী হত্যায় সাবেক শিবিরকর্মী গ্রেপ্তার"