নিউজ ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার হাফিজুর রহমান বিজয়কে থানায় নির্যাতনের অভিযোগে এএসপি সার্কেল সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) অবিলম্বে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
নির্যাতিতের মা জোছনা বেগমের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। এএসপির পক্ষে আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম ও ওসির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন শুনানি করেন।
নির্যাতিতের পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। তার পূর্বে ঘটনার বিষয়ে আইজিপিকে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এএসপি ও ওসিকে তলব করেন হাইকোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে সোমবার এএসপি সার্কেল সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চান। আদালত তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
আদালত সেদিন রুলও জারি করেন। রুলে এই নির্যাতনের ঘটনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা, নির্যাতিতকে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’- তা জানতে চাওয়া হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিজয়ের মা জোসনা বেগম অভিযোগ, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে একটি মামলায় বিজয়কে এসআই ফেরদৌস গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই দিন রাত ১২টার পর তাকে থানা হাজত থেকে বের করে ওসির রুমে এনে শারীরিক নির্যাতন করেন। রাত দেড়টা পর্যন্ত কয়েক দফা তার ছেলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। লাঠি দিয়ে তার ছেলেকে পেটানো হয়েছে।
Be the first to comment on "বাউফল সার্কেলের এএসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ"