নিউজ ডেস্ক॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামে আ’লীগের দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে একজন প্রবাসী হত্যার শিকার হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়। নিহত সৈয়দ মিজানুর রহমান (৫০) নোয়াগ্রামের মৃত সৈয়দ সিদ্দিক আলীর ছেলে। শনিবার ২৭এপ্রিল বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৬টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপি সদস্য ও নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা শেখ বুলবুল আহম্মদ সমর্থীত লোকজনদের সাথে একই গ্রাম ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সদ্য পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর ভাই সৈয়দ লেবু মিয়া সমর্থীত লোকজনদের মধ্যে ৫ম উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২৬এপ্রিল দুপুরে স্থানীয় মানিকগঞ্জ বাজারে নিহত মিজানুর রহমানের সাথে একই গ্রামের তিরান কাজীর মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা, লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করেন। এরপর বিকাল ৩টার দিকে সৈয়দ লেবু মিয়া সমর্থীত অন্তত ৫০/৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউপি সদস্য বুলবুল সমর্থীত লোকজনদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৈয়দ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে প্রান হারায়। নিহত মিজান একমাস আগে কুয়েত থেকে ছুটিতে বাড়ি আসেন। তিনি কুয়েত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। হামলায় সৈয়দ বাকী আলী, সেলিম, আবু রাহেন সাচ্চু, নওশের,শওকত, নিরব আলীসহ ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতদের লোহাগড়া, নড়াইল, যশোর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মিজানুর রহমান, সৈয়দ বাকী আলী, কাজী আবুল হোসেন, রুহুল আমিন, বেলায়েত ও আলম কাজীর বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। বর্তমান ওই গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নোয়াগ্রামের ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মদ অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর বিশ্বাস, হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ॥ কুয়েত প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা!"