শিরোনাম

লোহাগড়ায় অ-ব্যবস্থাপনায় চলছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা

লোহাগড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা

নিউজ ডেস্ক॥ লোহাগড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একাধিক শিক্ষককে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে। কোন কোন শিক্ষককে প্রায় ৩ বছর ধরে শিক্ষা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষককে দিয়ে দাপ্তরিক কাজ করায় উপজেলার সাধারণ শিক্ষকেরা ওই শিক্ষকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। শিক্ষককে দিয়ে দাপ্তরিক কাজ করানোর ফলে অফিসের গোপনীয়তা নেই বললেই চলে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে হওয়ায় কোন শিক্ষক মুখ খুলতে সাহস পায় না।
জানা গেছে,উপজেলায় সদ্য সরকারীসহ ১শ ৬৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮শ ৪৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ২৫-৩০ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশিক্ষন ও ডেপুটেশনে রয়েছে। শুন্যপদ ও বিভিন্ন কারনে কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তথাপি,উপজেলা শিক্ষা অফিসার ১৫-২০ জন শিক্ষককে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অহেতুক ডেপুটেশন দিয়েছেন। বদলী নীতিমালায় ডেপুটেশনের ক্ষেত্রে মহাপরিচালকের অনুমতির নির্দেশনা থাকলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষকের পছন্দসই বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দিয়েছেন। উপজেলার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সনজিত কুমার দে, প্রায় ৩ বছর ধরে উপজেলা শিক্ষা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। ইতিপূর্বে ওই শিক্ষক বসুপটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলেও মূলত উপজেলা শিক্ষা অফিসে কাজ করেছেন অপারেটর হিসেবে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেও ব্যর্থ হন। কাশিপুর বিদ্যালয়ে বদলীর পর পরই শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শিক্ষককে মৌখিক নির্দেশে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ডেপুটেশন করেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘিœত হওয়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের চাপের মুখে অবশেষে শিক্ষক সনজিত বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসার কিছুটা বিরাগভাজনও হয়েছেন। শিক্ষক সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পরোক্ষ সমর্থন পেয়ে ওই শিক্ষক ধরা’কে সরা জ্ঞান করছেন না। বাড়িতেই করছেন অফিসের দাপ্তরিক কাজ। ফলে সাধারণ শিক্ষকদের অবমূল্যায়ণ থেকে শুরু করে ইচ্ছেমতো শিক্ষকদের বেতন ভাতা তৈরিতে কম-বেশি করে জটিলতা করা,বেতন বন্ধ করে রাখা, চিত্তবিনোদন ভাতা থেকে নাম বাদ দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারী আচরন করছেন তিনি। এ নিয়ে শিক্ষক মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান,অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অফিস সহকারি ও কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় দাপ্তরিক কাজের সুবিধার জন্য কয়েকজন শিক্ষককে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন করা হয়েছিল। নতুন করে ২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ায় ডেপুটেশন বাতিল করে শিক্ষককে তাদের স্বস্ব বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "লোহাগড়ায় অ-ব্যবস্থাপনায় চলছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*