নিউজ ডেস্ক ॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে দুই সন্তানের জননী রীমা বেগম (২৫) আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় রোববার নিহতের পিতা কাঞ্চন শেখ বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় মামলা করেছেন। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারে নাই।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৭/৮ বছর আগে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের আকরাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০)’র সাথে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখহাটি গ্রামের কাঞ্চন শেখের মেয়ে রীমা বেগম (২৫)’র সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী পলাশসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন কারনে-অকারনে রীমার ওপর অন্যায়-অত্যাচারসহ অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। গত এক সপ্তাহ আগে স্বামী পলাশসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা রীমার কাছে নতুন ঘর তৈরী বাবদ মোটা অংকের অর্থ দাবী করেন। রীমা বিষয়টি তার পিতার কাছে জানায়। দরিদ্র পিতার পক্ষে ওই দাবীকৃত টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। টাকা দিতে না পারায় রীমার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার ওপর ফের অমানুষিক নির্যাতন করে। নির্যাতন সইতে না পেরে রীমা গত শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা কাঞ্চন শেখ বাদী হয়ে পলাশ সরদার, তার ভাই হাদিয়ার, লালন, মা জেলেখা বেগম, পিতা আকরাম সরদার, ভাবী আছিয়া ও আখি বেগমকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান বলেন, রোববার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারে নাই।
লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টব (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা"