নিউজ ডেস্ক ॥ দেশব্যাপি করোনা সংক্রমনের ঘটনার মধ্যেও নড়াইলের লোহাগড়ায় থেমে নেই মাদক বেচাকেনা। স্থানীয় প্রশাসন যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমনের হাত থেকে বাচাঁর জন্য সরকার গৃহীত নানামুখি পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যস্ত, ঠিক তখনই লোহাগড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়িরা কৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিল বেচাকেনা করছে। প্রশাসন মাদক নিয়ন্ত্রনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করার পরেও কিছুতেই মাদকমুক্ত হচ্ছে না। যদিও নড়াইল-২ আসনের এমপি বরেণ্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মতুর্জা মাদকমুক্ত নড়াইল গড়ার লক্ষে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (২২মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে লোহাগড়া থানার এসআই মাহফুজুল হক’র নেতৃত্বে সংগীয় কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম, উজ্জল হোসেন ও জয় কুমার দাস পৌর শহরের খেয়াঘাটস্থ নিতাই কর্মকারের কামারশালায় অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ নিতাই কর্মকারকে (৩৫) গ্রেফতার করে। সে পৌর শহরের কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত নরেন কর্মকারের ছেলে। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর মাদক বিক্রেতা লোহাগড়া পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি রাজিবুল ইসলাম ওরফে রাখিদ পালিয়ে যায়। রাখিদ পৌর শহরের রাজুপুর গ্রামের মোতালেব হোসেন ওরফে পাঁচু শেখের ছেলে। রাখিদ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবনের পাশাপাশি মাদক কেনাবেচা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় অন্তত এক ডজন মাদক মামলা রয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করে ধৃত নিতাইকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। মাদকের উৎস বের করাসহ পলাতক আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Be the first to comment on "লোহাগড়ায় ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক-১"