দুর্নীতির আখড়া লোহাগড়া পিআইও অফিস

দুর্নীতির আখড়া লোহাগড়া পিআইও অফিস

নিউজ ডেস্ক॥ বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিগত কয়েক বছর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে অনেক অনুদান এসেছে। তার মধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসের রিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের তথ্য জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানায় এড়িয়ে যান।
গ্রামকে শহরে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুত, নুতন রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কারের পাশাপাশি নদী ভাঙ্গন এলাকায় চরাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারকে সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছে। অপরদিকে জমি আছে ঘর নেই এমন হতদরিদ্র পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সরকার।
লোহাগড়া উপজেলায় রহস্যজনক কারণে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের তথ্য বা ফিরিস্তি গোপন করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। ওই সমস্ত প্রকল্পে কি পরিমান অর্থ আত্মসাত হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল। গত ১৭-১৮ অর্থ বছরে জমি আছে ঘর নেই এমন হতদরিদ্র ৪৪টি এবং ১৮-১৯ অর্থ বছরে ১’শ ১১টি পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি প্রকল্পে অর্থ ছাড় হলেও প্রকল্প কোথায় তাহা শুধু উপজেলা প্রশাসন জানেন। গত ১৭-১৮ অর্থ বছরের ১৬ অক্টোবর ১৮ তারিখে সাবেক এমপি শেখ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ৩৮’লক্ষ ৬০ হাজার টাকার নগদ অর্থ ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে পিআইও অফিসের মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত দিনের প্রকল্পের ৮০শতাংশ অর্থ আত্মসাত আবার কোথাও পুকুর চুরি হয়েছে। যাহার নিরোপেক্ষ তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তারা।
জানা যায়,উপজেলার ১২ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে পিআইও এসএমএ করিমের অনৈতিক আচারণ, টিআর কাবিখা ও ৪০দিনের কর্মসৃজন টাকা অগ্রিম নেয়ার কারণে চেয়ারম্যানরা নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মর্ত্তুজাসহ বিভিন্ন দপ্তরে গত (২৮এপ্রিল) একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার (৯মে) বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএমএ করিমসহ অন্যরা উপস্থিত থেকে ঘুর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে উপজেলার যে সব পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের মধ্যে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে কি পরিমান ঢেউটিন ও কত টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে বা হচ্ছে তা জানতে চাইলে লোহাগড়া উপজেলা পিআইও এসএমএ করিম গনমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে যান। তার এ কর্মকান্ডে উপজেলায় কর্মরত গনমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র জানান,‘উপজেলার ৩৪টি পরিবারের মধ্যে এক বান্ডেল ঢেউটিন (৮পিচ) ও তিন হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email
basic-bank

Be the first to comment on "দুর্নীতির আখড়া লোহাগড়া পিআইও অফিস"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*